অগ্নিশ্বর লাল কলা: পরিচিতি, উপকারিতা, চাষ ও পরিচর্যা

Agnishor Banana Plant

গ্নিশ্বর লাল কলা: পরিচিতি, উপকারিতা, চাষ ও পরিচর্যা

রিচিতি :

গ্নিশ্বর লাল কলা (Red Banana বা Musa acuminata) একটি বিশেষ জাতের কলা, যা সাধারণ কলার তুলনায় লালচে-বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মিষ্টি, সুগন্ধিযুক্ত এবং নরম টেক্সচারের হয়ে থাকে। এ কলা পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণাবলীর জন্য বেশ জনপ্রিয়।

বৈজ্ঞানিক নাম: Musa acuminata

রিবার: Musaceae

ৎপত্তি: মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা

কার ও রঙ: মাঝারি থেকে বড় আকৃতির, পাকা অবস্থায় লাল বা লালচে-বেগুনি রঙের হয়

অগ্নিশ্বর লাল কলা: পরিচিতি, উপকারিতা, চাষ ও পরিচর্যা

স্বাদ: সাধারণ কলার চেয়ে বেশি মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত
অগ্নিশ্বর লাল কলার উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
2. হজমশক্তি উন্নত করে
অগ্নিশ্বর লাল কলায় ফাইবার ও প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৪. রক্তস্বল্পতা দূর করে
লাল কলায় প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে ও রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
৫. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
এতে ট্রিপটোফ্যান ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে ও মন ভালো রাখে।
৬. ওজন কমাতে সহায়ক
ফাইবারসমৃদ্ধ এই কলা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে এটি ওজন কমাতে সহায়ক।
৭. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
অগ্নিশ্বর লাল কলার চাষ পদ্ধতি
১. উপযুক্ত মাটির ধরন
দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।
মাটির pH ৫.৫-৭.০ হওয়া উচিত।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে।
২. চারা লাগানোর সময় ও পদ্ধতি
সারাবছরই কলার চারা লাগানো যায়, তবে বর্ষা ও শীতের আগে (মার্চ-এপ্রিল/সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) লাগানো ভালো।
প্রতি গাছের ৬-৮ ফুট দূরত্ব রাখা উচিত।
চারা রোপণের সময় গর্তের মাপ ২-৩ ফুট গভীর ও প্রশস্ত রাখতে হবে।
রোপণের পর পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।
৩. সেচ ব্যবস্থা
শুষ্ক মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দিতে হবে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি যাতে না জমে, সেজন্য ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. সার ব্যবস্থাপনা
প্রতি গাছের জন্য ১০-১৫ কেজি জৈব সার (কম্পোস্ট/গোবর সার) দিতে হবে।
প্রতি মাসে ২০০-৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১৫০ গ্রাম পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।
ফল ধরার সময় জিঙ্ক ও বোরন সার দিলে ফলন ভালো হয়।
অগ্নিশ্বর লাল কলার গাছের পরিচর্যা
১. গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া
গাছের গোড়ার মাটি মাঝে মাঝে উঁচু করতে হবে, যাতে গাছ মজবুত হয়।
আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. ছাঁটাই ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
পুরনো, শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগাক্রান্ত পাতা কেটে ফেলতে হবে।
গাছের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন
পাতার দাগ রোগ, ছত্রাক ও ভাইরাস হতে পারে, যা ছত্রাকনাশক প্রয়োগে কমানো যায়।
পোকামাকড় (উদাহরণ: থ্রিপস, মিলিবাগ) প্রতিরোধে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. ফল ধরানো ও সংগ্রহ
কলার ফুল আসার পর ৩-৪ মাসের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
পুরো গুচ্ছ ফল একসঙ্গে কেটে নিলে গাছের নতুন চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
সংগ্রহের পর ৭-১০ দিন পর ফল পাকতে শুরু করে।
উপসংহার
অগ্নিশ্বর লাল কলা একটি বিশেষ জাতের কলা, যা পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সহজে চাষযোগ্য। এটি বাজারে চাহিদাসম্পন্ন এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে ভালো ফলন পা
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url